আমেরিকায় স্কলারশিপ বা ফুল ফান্ডিং এ পড়াশুনা

 সম্প্রতিক সময়ে যে  যে বাংলাদেশী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমেরিকায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়ছেন।


আমেরিকার অন‍্য নাম হ‍লো—The land of opportunity. 


আমেরিকায় স্কলারশিপ বা ফুল ফান্ডিং এ পড়াশুনা করা যায় তা আমরা জানি। কিন্তু কিভাবে-কোথা থেকে স্টুডেন্টকে স্কলারশিপ বা ফান্ডিং এর টাকা- পয়সা দেয়া হয় সে সম্পর্কে প্রশ্ন আছে অনেকের মনে।

....

স্কলারশিপ: বাংলাদেশে যেমন প্রাইমারী/হাইস্কুলে দেয়া হয় বৃত্তি। আমেরিকায় এমন অনেক ইউনিভার্সিটি আছে যারা কিনা উচ্চশিক্ষার জন্য (PhD/Master's) প্রোগ্রামে স্কলারশিপ বা বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটির নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করতে হবে যেমন: (CGPA, GRE Score, IELTS/TOEFl Score) সহ আনুষঙ্গিক রিকোয়ারমেন্ট গুলো ফিলফিল করা। ২.৫০ সিজিপিএ নিয়েও স্কলারশিপ পেতে দেখেছি পাবলিক, প্রাইভেট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। সিজিপিএ খারাপ থাকলে ielts,gre তে ভালো করে কভার দিতে পারবেন।একটা খারাপ থাকলে অন্য টা দিয়ে কভার করা যায়।

....

ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডমিশন পেলে তারাই আপনাকে স্কলারশিপের জন্য জন্য বিবেচনা করবে। কিছু ক্ষেত্রে সরকার অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হয়। সিলেকশন কমিটি আপনাকে যোগ্য বিবেচনা করলে প্রদান করবে স্কলারশিপ। ফুল স্কলারশিপ পেলে আপনাকে দিতে হবে না কোন টিউশন ফি। এছাড়া আপনার থাকা, খাওয়া, বই-পত্র কেনা, ভ্রমণ ভাড়া, রিটার্ন বিমান ভাড়া, হেলথ ইনস্যুরেন্স সহ যাবতীয় খরচ বহন করবে স্কলারশিপ কতৃপক্ষ। আপনি নিয়মিত ক্লাস ও পড়াশোনায় মনোযোগী থাকবেন। স্কলারশিপ কতৃপক্ষ আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে। যাকে বলা হয় ফুলব্রাইট স্কলারশিপ।

....

ফান্ডিং :

আমেরিকায় পড়াশুনার সবথেকে কার্যকরী উপায় ফান্ড ম্যানেজ করে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যারা পড়াশুনা করতে আসেন তাদের অধিকাংশই ফান্ডিং পেয়ে থাকে অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের মাধ্যমে।

....

অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ কি?

অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ এক প্রকার চাকরি। ইউনিভার্সিটি/ ডিপার্টমেন্টের ল্যাবে কাজ করে অথবা প্রফেসরের গবেষণার কাজে সাহায্য করে পাওয়া যাবে বেতন। বেতনের সেই টাকা দিয়ে চালিয়ে যাবেন খরচাপাতি। 

....

অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ তিন ধরনের: 

১। টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (TA): টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপে আপনি ফান্ড পেতে পারেন। হতে পারে সেটা ১ বছর টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ। সেক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে আপনাকে ফান্ড দেয়া হবে। যেটা দিয়ে আপনার খরচাপাতি চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে এটি প্রফেসরের ফান্ড নয় সেন্ট্রালি ফান্ড দেয়া হবে। এখন কথা হচ্ছে শিক্ষক সহকারি হিসেবে আপনি যে ফান্ড পেলেন তার বিনিময়ে আপনার কাজ কি? টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ হিসেবে পড়াশুনা করতে আসলে টিচারের কাজে সাহায্য করতে হবে যেমন: আন্ডারগ্র্যাড স্টুডেন্টদের পরীক্ষার খাতা গ্রেডিং করা, লেকচার ম্যাটেরিয়াল তৈরী করা, ল্যাবে স্টুডেন্টদের কাজ গুলো সম্পর্কে বুঝানো, ক্লাসে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা খোঁজ খবর রাখা ইত্যাদি! তবে এসব কাজের জন্য আপনাকে আগে থেকেই খুব এক্সপার্ট হয়ে আসতে হবে এমন নয়। সুবিধার জন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে আপনার ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হবে। ইউনিভার্সিটি এবং ডিপার্টমেন্ট ভেদে কাজের ধরণ হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন। 


২। রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (RA): রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ হিসেবে ফান্ড নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে প্রফেসরের আন্ডারে ল্যাবে কাজ করতে হবে, প্রফেসরের গবেষণার কাজে সাহায্য করতে হবে। যার বিনিময়ে পাবেন টাকা- পয়সা। রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের ফান্ড দেয়া হয় মূলত প্রফেসরের ফান্ড থেকে। গবেষণার জন্য প্রফেসরের কাছে যে টাকা-পয়সা আসে সেখান থেকে প্রফেসর তার গবেষণার কাজে সহযোগী হিসেবে আপনাকে ফান্ড দিবে। সোজা কথায় রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ হিসেবে টিউশন বা অন্যান্য সুবিদা বাবদ যে টাকা পাবেন তা সরাসরি প্রফেসরের ফান্ড থেকে দেবে। 


৩। গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (GA): গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের ফান্ড ডিপার্টমেন্ট থেকে দেয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি/ডিপার্টমেন্টের কাজ বিশেষে একজন (GA) কে নেয়া হয়। এটা নির্ভর করছে ডিপার্টমেন্টের উপর। গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টশিপে তেমন বিশেষ কোন কাজ দেয়া হয়না। যে কারনে (GA) কে নন-স্পেশালাইজড অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ বলা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে যেকোন কাজ করা লাগতে পারে। হতে পারে সেটা আ্যডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ, সাইড প্রজেক্টের কাজ, ল্যাব অথবা অন-ক্যাম্পাসে। 

....

তবে অধিকাংশ স্টুডেন্টই আসে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ এবং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপে পড়াশুনা করতে। ডিপার্টমেন্ট থেকে একজন টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ হিসেবে নেয়ার সময় গঠন করা হয় ৪-৫ জনের একটি কমিটি, যেখানে গ্র্যাজুয়েট চেয়ারম্যান থাকেন প্রধান। তাদের প্রথম কাজ হলো যে আবেদন গুলো জমা পরেছে তা রিভিউ করা এবং রিকোয়ামেন্ট ফুলফিল করতে পারেননি এমন আবেদন গুলো বাতিল করা। সেই সাথে তারা এটিও ঠিক করেন মোট কতজন স্টুডেন্ট নিতে পারবেন। সে হিসেবে বাছাইকৃত উপযুক্ত স্টুডেন্টদের করা হয় ইমেল। এবং জানতে চাওয়া হতে পারে আপনি তাদের প্রোগ্রামে পড়াশুনায় আগ্রহী? আপনার পজেটিভ রিপ্লাই পেলে তারা আপনাকে ইন্টার্ভিউয়ে ডাকবে। হতে পারে সেটা ফোন কল ইন্টার্ভিউ অথবা গুগল হ্যাং আউটস বা স্কাইপ ইন্টার্ভিউ। ইন্টার্ভিউয়ে মূলত এটাই যাচাই করা হয়ে থাকে যে প্রোগ্রামে আবেদন করছেন সে সম্পর্কে আপনি কতটুক অবগত। তাদের স্কুলে পড়াশুনায় আগ্রহী কেন? বা তাদের সম্পর্কে কতটুক ধারণা রাখেন ইত্যাদি! 

....

ওভারঅল সব মিলে পজেটিভ থাকলে গ্যাড অফিস I-20 ইস্যু করবে যেখানে উল্লেখ থাকবে আপনার টাকা-পয়সার আয় ব্যায়ের হিসেব।

-------------------------------------------------------------


অনেকেই মনে করে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আমারে দ্বারা কিছু হবেনা। আমি কি উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে যেতে পারব,গুগল, নাসা,ফেসবুক, মাইক্রোসফট এর মতো প্রতিষ্ঠানে জব করতে পারবো,আমি কি বিজ্ঞানী হতে পারবো? প্রফেসর হতে পারবো? আমাদের থেকে অন্যরা তো অনেক এগিয়ে। আপনি যদি তাদের একজন হন তাহলে এই পোস্টটি আপনাকেই খুঁজছে! 

....

লাইফে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে, এখন আর যাতে খারাপ কিছু না হয় সেজন্য কাজ করতে হবে। পাব্লিকে পড়ার স্বপ্ন ছিলো পূরণ হয়নি, মধ্যবিত্ত বলে প্রাইভেটেও পড়তে পারেন নি, জীবনে ভার্সিটি নামক স্বাদ নিতে পারেন নি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কিছু হবে না, ছোটোবেলার স্বপ্ন গুলো অধরা থেকে যাচ্ছে, সাথে আরো কয়েক'শ হতাশা!

আপনি যদি সত্যিই চান লাইফের বাকী অংশটায় স্বপ্নের ছোঁয়া লাগাবেন, তাহলে হাতে যা আছে তা নিয়েই মাঠে নামতে হবে! সাধারণত এক গ্লাস পানি তেমন বিশেষ কিছু না হলেও বিশাল মরুভূমির মাঝে এক গ্লাস পানি অনেক কিছু! সুতরাং এই এক গ্লাস পানি নিয়েই আপনাকে মরুভূমি পার করতে হবে। আসুন খেলায় নামি!

....

প্রথমেই আগের অপ্রাপ্তির চিন্তা ভাবনা বাদ দিতে হবে। এখন আপনাকে মাথায় আনতে হবে আগামীর কথা! সবসময় পজেটিভ চিন্তা রাখবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আপনি বরং আরো একধাপ এগিয়ে থাকতে পারবেন। বিশ্বাস হয়না? চলুন একটা পরিসংখ্যান করা যাক।

....

⇨ কেয়ার না করাঃ যারা public এ পড়ে, তারা ভাবে অনেক দিন তো কষ্ট করলাম। এবার একটু relax করি। এই relax করতে করতে কখন যে থার্ড ইয়ারে এরা চলে আসে বুঝতেই পারেনা। এরা আড্ডা মাস্তি ক্যাম্পাসে চিল আপ, ট্যুর দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আমার দেখা অনেকেই উদাসীন থাকে লেখাপড়ার ব্যাপারে। অন্যদিকে যারা জাতীয়তে পড়ে তারা একটু কেয়ারফুল হয় কেননা জাতীয়তে রেজাল্ট ভাল করা একটু টাফ। এখানে কোথা থেকে প্রশ্ন আসবে জানা যায় খুব কম। পাব্লিক এর মতন কিছু প্রশ্ন পড়লেই হয়না বরং আরো বেশি পড়া লাগে। কিছু পোলাপান আলাদা সব সময় থাকে, যারা আসলেই এসব নিয়ে ভাবে। আপনাকে তাদের মধ্যে একজন অন্যতম হতে হবে। 

⇨ অনেক সময় পাওয়াঃ যারা জাতীয়তে পড়ে এদের হাতে বেশ ভালো সময় থাকে। অনন্ত পাব্লিকে যারা পড়ে তাদের থেকে বেশি থাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্লাস খুব কম হয়, অন্যদিকে পাব্লিকে বেশ ভালই ক্লাস হয়। সাথে থাকে assignment, presentation ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক সময় ক্লাস ৯ টা থেকেও থাকে প্রায় ১ টা অবধি। ক্লাস থেকে এসে সন্ধ্যা অবধি ঘুম। সন্ধ্যা তে উঠে হয় টিউশন নাহলে আড্ডা। এরা হাতে সময় কম পায়। কিন্তু কলেজের পোলাপান হাতে বেশি সময় পায়। ক্লাস কম হয়, এতো presentation থাকেনা। নিজের পড়াশোনা জন্যেও বেশ সময় পাবেন। মনে রাখবেন, cgpa ভালো না হলে চান্স পাওয়া একটু টাফ। সুতরাং কলেজ বা ভার্সিটি এই পরিচয় না এনে নিজের ডিপার্টমেন্ট এর পরিচয় মাথায় আনুন৷ পাঁচ তারকা হোটেলে যে চাউল থেকে ভাত হয়, রাস্তার পাশের হোটেলেও সেই চাউল থেকে ভাত হচ্ছে। সুতরাং চাউল এর পরিচয় মুখ্য, স্থানভেদে জিনিসের পার্থক্য হলেও উপাদান একই!

Higher study এর জন্য সুচিন্তিতভাবে আগানো দরকার বলে আমি মনে করি।

তার কিছু নিচে উল্লেখ করলাম -

১.মোটামুটি cgpa

২.ইংরেজি তে দক্ষতা বাড়ানো ও ielts/ toffel এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।( সাধারণত ielts score মাস্টার্স এর জন্য ৬.৫, কোন মডিউলে ৬ এর কম নয়)

৩.এনালিটিকেল দক্ষতা প্রমাণের জন্য GRE/GMAT এক্সাম শেষ করা একটা ভালো স্কোর সহ ৩১০+.

৪.যত বেশি সম্ভব ছোটো খাটো জব,প্রোজেক্ট এ কাজ করার অভিজ্ঞতা নেওয়া।

৫.সম্ভব হলে পাবলিকেশন করা।

৬.extra কারিকুলাম কাযক্রমে অংশগ্রহণ করা। বিভিন্ন ট্রেনিং, সেমিনার - সিম্পজিয়াম, লিডারশীপ প্রগ্রাম, সোশাল ওয়াক্‌।

৭.কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানো,কারণ তা আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য লাগবেই।

৮.

পড়াশুনা করা অবস্থাতেই বিভিন্ন দেশের উচ্চ শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা সম্পকে খোজ রাখা।

৯.কমিউনিকেশন দক্ষতা বাড়ানো কারণ আপনাকে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রফেসর,ডিন ও কোঅডিনেটর এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

১০.সবপরি সময়, শ্রম ও ধৈযর্ ধরে লেগে থাকা কোন অবস্থাতেই নিরাশ না হওয়া।

বাইরে কান্ট্রি গুলো দেখে না যে আপনি অনার্স মাস্টার্স করেছেন কোন ইউনিভার্সিটি থেকে! পাবলিক না প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, এই গুলো দেখার তাদের সময় নেই। তারা মূলত দেখবে আপনার সিজিপিএ, যোগ্যতা।কিন্তু দেশের মানুষ অনেকেই যারা জানেন না তারা ভাবে প্রাইভেট, পাবলিক ইউনিভার্সিটি র স্টুডেন্ট দের মনে হয় এমনিতেই নিয়ে নেয় তারা তো পাবলিকে পড়েন😄কিন্তু এগুলো ভুল।কোন ইউনিভার্সিটি তে পড়েছেন এই গুলো দেখার সময় নেই।আপনার যোগ্যতাই মেইন।


------------------------------------

                                        -------------------------------------

সম্প্রতিক সময়ে আমেরিকায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়ছেন যে বাংলাদেশী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

শিক্ষার্থীরা।

.....

১।আশরাফুল খান ভাই(https:www.facebook.com/profile.php?id=100002368138357) মেধাবী ব্রিলিয়ান্ট একজন ছাত্র।বিএসসি চলাকালীন সময়েই ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করেন সপ্ন দেখতে থাকেন।ইনফরমেশন খুজার চেষ্টা করেন।আশরাফুল খান ভাই বিএসসি করেছেন ঢাকা কলেজ থেকে,পরিসংখ্যান বিভাগের ছাএ ছিলেন।তার সিজিপিএ ছিলো ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৩২,IELTS ৬.৫, GRE ৩০২. ১ টি প্রজেক্ট ছিলো, ১ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ছিলো।

আশরাফুল ভাই এখন ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে পিএইচডি করছেন।

জাতীয় ইউনিভার্সিটি তে লেখাপড়া করেছে বলে নিজের মেধা যোগ্যতার কমতি রাখে নি।বৃত্তি সহ আমেরিকার সনামধন্য ইউনিভার্সিটি তে পড়ালেখা গবেষণা করছেন।যেখানে পৃথিবীর সেরা সেরা ইউনিভার্সিটি র মেধাবী রা।


.....

২।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও দমে যাননি ইমরান

ভাই(https://www.facebook.com/EmranHosseeen

সিলেট মুরারি চাদ কলেজে গণিত বিভাগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাস করে বের হন। এখন পড়াশোনা করছেন টেক্সাসে অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়-কমার্সে। একইসঙ্গে গণিত বিভাগে গ্র্যাজুয়েট টিচিং সহকারীর কাজও করছেন।


.....

৩।সাইদ সাজ্জাদুল ভাই https://www.facebook.com/gsazzad অনার্স করেছেন জাতীয় বিশব্বিদ্যালয় (সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহশিন কলেজ) ইংরেজি বিভাগ থেকে। বর্তমানে লেখাপড়া করছেন আমেরিকার সাউদার্ন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

টিচিং এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন।

.....

৪। মরিয়ম ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে বিএসসি করেছেন, পর্দাথ সাবজেক্টে।

আংশিক ফান্ডিং নিয়ে আমেরিকাতে মাস্টার্স করতেছেন। তার বিএসসি সিজিপিএ ছিল ৩ এর উপরে, IELTS score 6.00,ভলেন্টিয়ারি এক্সপেরিয়েন্স ছিলো নাসার এস্ট্রোফিক্সে।

.....


৫।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালিতে পড়তে যাচ্ছেন আশা বড়ুয়া আপু।https://www.facebook.com/asha.barua.908

....

৬।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে বুয়েট থেকে মাস্টার্স করেছেন আশুতোষ নাথ । এরপর কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে ঢুকেছেন। কিন্তু মনে মনে স্বপ্নকে তাড়া করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের University of Massachusetts, Boston এ পিএইচডি করতে যাচ্ছেন। উনার সিজিপিএ ছিলো ৩.৩০ এর আশেপাশে। ভালো মানে গবেষণা পেপার ছিলো।https://www.linkedin.com/in/ashutosh-nath-89933929

.....


৭।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আশিকুর রহমান ভাই যাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন মিসিসিপলে। 

সিজি ছিলো ২.৯১, জিআরই ৩১৭, টোফেল ৯৯। 

https://www.facebook.com/Ashik.phy

.....

------------------------------------------------------------------------

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: দেশে আমরা যেমন ভার্সিটি নিয়ে মাতামাতি করি আমেরিকায় তেমনটা নেই। তারা হয়তো আমাদের দেশের নামী ভার্সিটিগুলোর নামই শোনেনি। আপনি গ্রামের কোন কলেজ থেকে অনার্স করেছেন সেটা মুখ্য নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি অনুমোদিত যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি থাকলে এপ্লাই করতে পারবেন। এপ্লাই করার জন্য প্রাথমিক যোগ্যতা চার বছরের অনার্স ডিগ্রি। কেউ যদি আপনার ভার্সিটি/ কলেজের কথা বলে হায়ার স্টাডির ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে তাহলে তাকে এভয়েড করুন। ইভেন আপনার স্কিল থাকলে দেশের ভিতরেই দেখতে পাবেন যে, ভার্সিটির নাম দিয়ে আজকাল আর কাজ চলে না। ভার্সিটির নাম নিয়ে তর্ক ফার্স্ট ইয়ারেই মানায়। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু বাংলা বই পড়ানো হয় সেহেতু যারা হায়ার স্টাডিতে যেতে চান তাদের উচিৎ অন্তত বেসিক কোর্সের বইগুলো নিজ উদ্যোগে ইংরেজি ভার্সন পড়া।

নিজে জানার পাশাপাশি শেয়ার করে বন্ধু বা পরিচিত জন কে জানার সুযোগ দিন।

ধন্যবাদ!

© LEARN INSPIRE

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form