মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ( Microsoft PowerPoint) কি? সাথে থাকছে Microsoft PowerPoint by 10 minute school


মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ( Microsoft PowerPoint) কি?  সাথে থাকছে Microsoft PowerPoint by 10 minute school

মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট (Power Point)  হচ্ছে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এপ্লিকেশনের একটি পার্ট।  ১৯৯০ সালে এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে। ইহা মূলত প্রেজেন্টেশন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

এটি স্লাইড শো তৈরি করে ভিডিও আকারে বা PDF আকারে কনভার্ট করে উপস্থাপন করা যায়। এটি প্রেজেন্টেশন কাজ ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট একদিনে শিখার কাজ নয় এটি শিখতে হলে আপনাকে মোটামুটি বেশ সময় দিতে হবে। 

Microsoft PowerPoint কি ?  

মাইক্রোসফট PowerPoint হলো মাইক্রোসফট Corporation এর তৈরিকৃত একটি Presentation Design Software যার মাধ্যমে কোন বিষয়কে দর্শকদের কাছে বড় পর্দায় উপস্থাপন করার জন্য Slide তৈরি করে Slide Show Presentation করা হয় ।

যার মাধ্যমে কোনো বক্তব্য, বিজ্ঞাপন, মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয়, ডাটা, গ্রাফ, চার্ট, ইমেজ প্রভৃতি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের এ্যানিমেশন, ট্রান্জেকশন বা ইফেক্ট প্রদান করে প্রেজেন্টেশন তৈরি করা এবং তা দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা যায়।

 এখানে বিভিন্ন ধরনের স্লাইড শো তৈরি করা যায়। 2D & 3D সেপস, আইকোন এবং স্মার্ট আর্ট এর মাধ্যমে কোনো কাজকে ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারা যায়। মোট কথা মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে আমরা কোন বক্তব্যকে বা বিজ্ঞাপনকে সুন্দর ও আকর্ষনীয় ডিজাইন করে প্রেজেন্টেশন বা উপস্থাপন করতে পারি।

Microsoft PowerPoint কেন ব্যবহার করা হয়?

মাইক্রোসফট PowerPoint থেকে যে কোন ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায় এবং অনেক সুন্দর সুন্দর Slide তৈরি করা যায়।

মাইক্রোসফট PowerPoint দ্বারা কি কি কাজ করা যায়ঃ

১। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কোন বিষয়কে দর্শকের কাছে বড় পর্দায় প্রদর্শন করার জন্য Slide তৈরি করে Slide Show করা হয়।

২। কোন রিপোর্ট, প্ল্যান বা এ জাতীয় অন্যান্য বিষয়কে পাওয়ার পয়েন্ট উইজার্ড ব্যবহার করে অতি সহজে উপস্থাপনা করা যায় ।

৩। তৈরিকৃত এ ধরনের রিপোর্ট, প্ল্যান (plan)-কে PowerPoint Presentation Design এর ইফেক্ট দেয়া যায় এবাং অ্যানিমেটেড করে বিভিন্ন শব্দের অ্যাফেক্ট দিয়ে মনোমুগ্ধকরভাবে উপস্থাপনা করা যায়।

৪। সাধারণ প্রজেক্টরে মাপমতো 35 mm সাইজের করে Slide তৈরি করে প্রজেক্টরে সহজে ব্যবহার  করা যায় । Microsoft PowerPoint এর slide সমূহ যে কোন স্ক্রিনে করা যায়।

৫। PowerPoint এ তৈরিকৃত বিভিন্ন ডকুমেন্ট অন স্ক্রিনে শো করা ছাড়াও প্রিন্টারের সাহায্যে ডকুমেন্ট হিসেবে প্রিন্ট করা যায় ।

৬ Slide show করার সময় যেকোন বিষয়কে মার্ক করার জন্য PowerPoint এর ইলেক্টিক কলম ব্যবহার করা এবং স্পীকার নোট তৈরি করা যায়। এখানে ওয়ার্ড বা এক্সেল হতে ফাইল সরাসরি ব্যবহার করা যায় ।

৭। প্রেজেন্টেশন আকর্ষনীয় করতে এতে ডিজিটাল ভিডিও এবং সাউন্ড যোগ করা যায় ।

৮। Presentation টিকে Internet এর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো যায়।

৯। স্লাইড গুলি একত্রে একটি ফাইলে (File) এ store করা যায়।

১০। Slide  গুলি প্রয়োজনে Edit বা Delete করা যায়।


কিভাবে প্রেজন্টেশন তৈরি করা যায় :

প্রেজেন্টেশন শব্দের অর্থ হচ্ছে উপস্থাপন। কোনো বিষয়ের বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরাই হচ্ছে প্রেজেন্টেশন বা উপস্থাপন করা। মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে জানা থাকতে হবে। মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্টের ইন্টারফেসে প্রবেশ করে টাইটেল বা রিবন বারে কিছু মেনু দেখতে পাবেন। এখান থেকে Home, Insert, Design, Animations, Slide show, View, Format ইত্যাদি টপিক গুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে। তাহলে আপনি যে কোনো প্রেজেন্টেশনের কাজ সঠিক ভাবে করতে পারবেন। এ গুলো সম্পর্কে নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

১. Home ( হোম ) :

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ( Microsoft PowerPoint) কি?  সাথে থাকছে Microsoft PowerPoint by 10 minute school

হোমের মাধ্যমে জানতে পারবেন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে যে সমস্ত কাজ গুলো করা হয় সে গুলোই রয়েছে। এখান থেকে যে কোন লেখা বড় ছোট, ব্লড করা, ইটালিক করা, লেফট, সেন্টার, রাইটে নেয়া। যে কোন সেফট নেয়া ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। এখান থেকে শুধু অতিরিক্ত কাজ জানতে হবে, কিভাবে নিউ স্লাইড নিতে হয়। চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন লাল তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো হচ্ছে নিউ স্লাইড। এখান থেকে যত গুলো স্লাইড নিতে ইচ্ছা হয় ক্লিক করে করে নিতে পারবেন। অথবা কিবোর্ড থেকে কন্ট্রোল +m চেপেও নতুন নতুন স্লাইড নিতে পারবেন। এই স্লাইডের মাধ্যমে আপনার সকল তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।

2. Insert ( ইনসার্ট ) :

ইনসার্ট থেকে ক্লিক করে নিতে হবে টেবিল, পিকচার বা ছবি, ক্লিপ আর্ট, সেপ, স্মার্ট আর্ট, চার্ট, ভিডিও এবং সাউন্ড বা শব্দ। এছাড়া টেক্সট বক্স, হেডার ফুটার, ওয়ার্ড আর্ট ইত্যাদি নিতে হবে। এ গুলোকে ইচ্ছা মতো ব্যবহার করতে পারবেন। এ গুলো আপনার প্রেজেন্টেশনকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরিতে ইনসার্টের উপাদান গুলো খুবই প্রয়োজনীয়। ইহার সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। তবেই সঠিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন।

3. Design ( ডিজাইন ) :

ডিজাইন হচ্ছে আপনার প্রেজেন্টেশনের মূল বিষয়। ডিজাইন যত সুন্দর ও আকর্ষনীয় হবে, আপনার প্রেজেন্টেশন ততো সুন্দর দেখাবে। এখান থেকে যে কোনো থিম ব্যবহার করতে পারবেন। থিমে কালার দিতে পারবেন, ফন্ট চেন্স করতে পারবেন, ইফেক্ট দিতে পারবেন। থিমের ব্যাকগ্রাউন্ড চেন্জ করতে পারবেন। আপনার ইচ্ছা মতো ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন।

4. Animations (এ্যানিমেশন ) :

পাওয়ার পয়েন্টে একটি প্রেজেন্টেশনকে সুন্দর্য মন্ডিত এবং গতি বৃদ্ধিতে এ্যানিমেশন গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এনিমেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ইফেক্ট প্রদান করা যায়। স্লাইডকে ট্রান্জেকশন বা এ্যনিমেশন দিতে পারেন। আবার ফন্ট বা লেখাকেও বিভিন্ন ইফেক্ট প্রদান করে এ্যানিমেশন দিতে পারেন। যে কোন স্লাইডে সাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। সাউন্ট কতক্ষন থাকেবে তার সময় নির্ধারন করে দিতে পারেন। ওভার অল এ্যানিমেশনের মাধ্যমে একটি প্রেজেন্টেশনকে আকর্ষনীয় ও প্রানবন্ত করে তোলা সম্ভব।

5. Slide Show ( স্লাইড শো ) :

প্রেজেন্টেশনের এক একটি খন্ডের নাম হচ্ছে স্লাইড। একটি প্রেজেন্টেশনে একাধিক স্লাইড থাকতে পারে। এই স্লাইড গুলোর মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ে আপনার প্রেজেন্টেশন বা উপস্থাপনা তুলে ধরতে পারেন। স্লাইড শো থেকে আপনার প্রতিটি স্লাইড ক্লিক করে করে দেখতে পারেন। আবার ননস্টোপ ভাবে একাধারে সব স্লাইড গুলো বা পূর্নাঙ্গ প্রেজেন্টেশন দেখতে পারেন।

6. View ( ভিউ ) :

ভিউ থেকে আপনার স্লাইড গুলো দেখতে পারবেন। আপনার স্লাইড গুলোকে শর্টেন করতে পারবেন। ধারাবাহিক ভাবে দেখতে পারবেন। আবার একটা একটা করে ক্লিক করে দেখতে পারবেন। এখান থেকে মাস্টার স্লাইড তৈরি করতে পারবেন। কোনো বড় প্রজেক্টের জন্য কাজ করতে হলে মাস্টার স্লাইডের সাহায্যে কাজ করতে হয়। এখানে থেকে জুম করতে পারবেন। জুম করে ছোট বড় করতে পারবেন। এডিটিং করতে পারবেন এবং ডিলেট করতে পারবেন।

7. Format ( ফরমেট ) :

ফরমেট থেকে ফরমেটিং করে মাইক্রোসফট এম এস ওয়ার্ডের মতোই সব কাজ করতে পারবেন। ফরমেটিং হলো টেক্সটকে সঠিক আকৃতি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা। আপনার বিভিন্ন সেপের ব্যবহার, বিভিন্ন ওয়ার্ড আর্টের ব্যবহার, টেক্সট কালার দেওয়া, 3ডি ইফেক্ট দেয়া, টেরেন্সফর্ম করা, বিভিন্ন কালার ইফেক্ট দেওয়া ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। এ গুলোর সঠিক ব্যবহার আপনার পাওয়ার পয়েন্টের প্রেজেন্টেশনকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।

কিভাবে প্যাকটিক্যালি প্রেজেন্টেশন তৈরি করবেন :

কিভাবে প্যাকটিক্যালি প্রেজেন্টেশন তৈরি করবেন তার রুপরেখা তুলে ধরার চেষ্ট করছি। প্রথমে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়ার ওপেন করুন। তারপর নিচের মতো একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।



এখানে হোম বাটনে দেখতে পাচ্ছেন লাল তীর চিহ্ন দিয়ে ইন্ডেকেট করা আইকোন। সেখানে ক্লিক করে একটা একটা করে স্লাইড নিন। আপনি ইচ্ছা করলে কন্ট্রল + এম চেপেও স্লাইড নিতে পারেন। এই স্লাইড গুলোতে প্রথমে স্বাগতম জানান। তারপর আপনার যে কোন বিষয়ে আলোচনা বা বক্তব্য লিখতে পারেন। আপনার যত গুলো বিষয় থাকবে ততো গুলো স্লাইড নিতে পারেন। শেষে ধন্যবাদ দিন। এই স্লাইড গুলোতে ডিজাইন সেট করুন, ট্রান্জিকশন বা এ্যানিমেশন ইফেক্ট দিন, সাউন্ড সেট করুন। আপনার পছন্দ মতো যে কোন ছবি বা ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন। আবার যে কোনো ভিডিও ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে আপনি মাইক্রোসট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে একটি সুন্দর প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারেন



এর পরেও যারা না পারবেন তাদের জন্য এই কোর্সটিঃ

Course Name: Microsoft PowerPoint by 10 minute school

Language : bangla

Duration: 4 hours

Class: 52

Buy : Full Course From 10 minute School 

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ( Microsoft PowerPoint) কি?  সাথে থাকছে Microsoft PowerPoint by 10 minute school
4,500৳ 450৳

Free version:

মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট ( Microsoft PowerPoint) কি?  সাথে থাকছে Microsoft PowerPoint by 10 minute school

Uploder: 03BD

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form