এফিলিয়েট মার্কেটিং ইন্টারনেটে যারা ইনকাম করার জন্যে একটু হলেও ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন। তারা হয়তো এফিলিয়েট মার্কেটিং নামটি শুনে থাকেন।
হয়তো এরকম অনেকেই আছেন যারা জানেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?এটা কিভাবে করতে হয়?ঠিক কীভাবে এটি কাজ করে কিন্তু আবার অনেকে আছে যারা এটি একটি সম্পর্কে ধারণা নেই।
তাই আজকে আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করবো কিভাবে আপনি কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া আপনার ফেসবুক পেজ অথবা ফেসবুক গ্রুপ অথবা ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করবেন।
আজকে আমরা সম্পূর্ণ অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। কিভাবে আপনারা অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক টাকা ইনকাম করবেন ঘরে বসে?
আপনি যদি চান অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করবেন। তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনি কোন একটা কোম্পানির প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সেল করে দিবেন। তার বিনিময়ে আপনি % হিসাব করে কমিশন পাবেন। এটাকেই আফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। যেহেতু আমরা অনলাইনেই ব্যবসা করতে যাচ্ছি আমাদের কোন অবকাঠামো ও নাই, তাই আমরা অনলাইনের প্রডাক্ট সেল করে এরকম কোম্পানির প্রডাক্ট সেল করে সেখান থেকে কমিশন নিব।
মনে করুন, আপনার অলরেডি একটি ওয়েবসাইট আছে সেখানে আপনি বিভিন্ন গ্যাজেটস বা ডিজিটাল পন্য নিয়েও আর্টিকেল লিখেন। এখন আপনি যদি আপনার আর্টিকেল এর সাথে রিলেটেড কিছু প্রডাক্ট আপনার আর্টিকেলের সাথে যুক্ত করে দেন তখন অবশ্যই অনেকেই আপনার লিখাটা পড়ার পর সেখান থেকে আপনার দেয়া প্রডাক্ট কিনতে আগ্রহ্যী হবেন। আর যখনিই কেউ আপনার সেই আর্টিকেলে দেয়া প্রডাক্ট কিনবেন, আপনি সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট কমিশন পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়, এটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না।
এখানে মূল বিষয়টা হচ্ছে – আপনি যদি ফেসবুক পেজ থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন। অথবা ফেসবুক গ্রুপ অথবা আপনার যদি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে, সেখান থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান। তাহলে দেখতে হবে আপনার কিরকম ভিজিটর আছে অথবা কিরকম ট্রাফিক রয়েছে।
আপনার ওয়েবসাইটে অথবা ফেসবুক পেইজে আপনি ঠিক মাসে কতটা সেল দিতে পারেন। তার উপর ডিপেন্ড করে আপনার মাসিক ইনকাম হয়।
কিন্তু, হ্যাঁ আপনি যদি চান আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কে বেছে নিতে পারেন। এরকম অনেক রয়েছে যারা ক্যারিয়ার গঠন করে ফেলেছে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করে।
বাংলাদেশ থেকে কি এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করা যায়?
হ্যা, আপনি বাংলাদেশ থেকেও এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস করতে পারবেন।
আপনি বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেসব ওয়েবসাইট থেকে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা করতে পারবেন। কিন্তু আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো আপনি অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা করুন।
আমাদের বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা করে খুব সফলতা সাথে ইনকাম করছে। আমাজন এফিলিয়েট নিয়ে কাজ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে এবং যেসব দেশে আমাজন তাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি দেয় সেসব দেশ টার্গেট করে আমাদের কন্টেন্ট লিখতে হবে।
অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে আমাজন অফিশিয়াল সাইট থেকে একটা একাউন্ট করতে হবে। এই লিংক থেকে আপনার ইমেইল পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে প্রথমেই একটা একাউন্ট করে নিন।
একাউন্ট করার পর এখান থেকে প্রডাক্ট নিয়ে সেই প্রডাক্ট আপনার ওয়েবসাইট অথবা ফেইসবুক পেইজ বা গ্রুপের মাধ্যমে সেল করে আপনি কমিশন পেতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে বেস্ট অপশন হচ্ছে নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেল করা। কারন ওয়েবসাইটে আপনি গুগল থেকে সহজেই ট্র্যাফিক পেয়ে যাবেন।
আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা কিভাবে তুলতে হয়?
অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার ইনকাম হবে সেই টাকাগুলো তোলার জন্য আপনি ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেন। অথবা আপনি পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি সম্পূর্ণ টাকা ট্রান্সফার করে নিতে পারেন। সেখান থেকে আপনি খুব সহজে ব্যাংকে টাকাটা নিতে পারবেন।
এছাড়া পেপাল থেকেও টাকা উঠাতে পারবেন আপনি চাইলে কিন্তু পেপাল বাংলাদেশে এখনও অফিশিয়ালি না আসার কারনে পেপাল ব্যবহার না করায় ভাল। কারন সেক্ষেত্রে একাউন্ট ব্লক ও লিমিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য বেস্ট অপশন আমাদের জন্য পেওনিয়ার। আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড এর মাধ্যমে সহজেই পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন এবং পেওনিয়ার থেকে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংক অথবা রকেট একাউন্টে ও টাকা নিতে পারবেন।
কিভাবে আমাজন এফিলিয়েট থেকে টাকা আয় করবেন?
চলুন তাহলে দেখা যাক কিভাবে আপনি আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করবেন।
আমাদের ভিতরে বেশীরভাগ মানুষই চায় আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে হয়। কিন্তু দেখা গেছে কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয়? কিভাবে টাকা কামাতে হয়? কিভাবে টাকাটা হাতে আন্তে হয় অনেকি জানে না।
তাই, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে এফিলিয়েট একাউন্ট খুলতে হয়। কিভাবে আপনি টাকাটা ইনকাম করবেন। কিভাবে আপনি টাকাটা হাতে নিয়ে আসবেন।
তার জন্য অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন যদি পরিপূর্ণ আকারে বুঝতে চান। কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার যদি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি না পড়েন তাহলে অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন না। তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রথমত অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় চলুন সেটা দেখি।
অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবে-
১.একটিভ ফোন নাম্বার।
২.ভেলিট ইমেল এড্রেস।
৩.প্রেজেন্ট এবং পারমানেন্ট এড্রেস।
৪ যেই মাধ্যমে পেমোট করবেন তাদের প্রডাক্ট (ইউটিউব, ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইন্সট্রাগ্রাম,টুইটার ইত্যাদি।
প্রথমে চলে যান amazon.com ওয়েবসাইটে। তারপর sign up এ ক্লিক করুন। প্রথমেই নাম,ঠিকানা,ফোন নাম্বার এবং সঠিক এড্রেস দিয়ে আপনি যেই ইমেলটা দিয়ে একাঊন্ট খুলবেন সেই ইমেল এ তারা একটি পাঠিয়ে দিয়েছে সেই লিঙ্কটার উপরে ক্লিক করে একাউন্ট ভেরিফাই করে নিন তারপর তৈরি হয়ে যাবে আপনার অ্যামাজন একাউন্টি।
তারপর দেখবেন ইনফোরমেশন ফ্লিল আপ করতে বলবে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে ফিলাপ করবেন।
অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট খুলতে। একেবারে নিচে চলে যান নিচে এসে দেখুন Become An Affiliate এই লিখাটি রয়েছে ক্লিক করুন।
তার আগে বলে রাখি এফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করার আগে অবশ্যই ভালো মানের 15 থেকে 20 টা কন্টেন তৈরি করে রাখবেন।
আপনি যদি ভালো মানের কন্টেন তৈরি না করেই অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট খুলার জন্য এপ্লাই করেন তাহলে তারা রিজেক্ট করে দিবেন।
তাই অব্যশই ভালো মানের ১০-১৫ টা কন্টেন আপলোড করে তারপর আপনি এপ্লাই করবেন।
এখানে আরেকটা বিষয় যেটা হচ্ছে যে, আপনাকে বলা হবে এপ্লাই করার সময় যে আপনার ওয়েবসাইট অথবা যেই মাধ্যমে আপনি প্রডাক্ট প্রমোশন করবেন সেটার সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন তখন বিস্তারিত ভাবে লিখে দিবেন।
সবকিছু ঠিকঠাক মত দেওয়া হয়ে গেলে Finish এ ক্লিক করে দিন। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে তারা আপনাকে তারপর দেখবেন তারা আপনাকে একটা ইউনিক আইডি দিয়েছে ইউজার নেম এর-মত। Exemple – Torie-1, torii527.
এখন প্রশ্ন হচ্ছে একাউন্ট না হয় খুলে ফেললেন কিন্তু টাকা টা কিভাবে উঠাবেন?
অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট থেকে টাকা উঠাতে চাইলে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পেওনিয়ার একাউন্ট এর মাধ্যমে।
পেওনিয়ার একাউন্ট আমাজন এফিলিয়েট এ যুক্ত করবেন যেভাবে-
চলুন তাহলে এখন শিখা যাক কিভাবে আপনি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট এর সাথে যুক্ত করবেন।
এড এ পেমেন্ট ইনফোরমেশন লেখাটি দেখতে পারবেন সেখানে ক্লিক করে দিবেন। সেই খান থাকে যাবতিয় ইনফোরমেশন দিয়ে পেওনিয়ার একাউন্ট এড করে নিবেন। নিম্নে ১০০$ হলে টাকা উঠাতে পারবেন।
এখন অ্যামাজন এর যেকনো প্রডাক্ট ওপেন করে লিংকটি কপি করে নিবেন তারপর আপনার অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট এ লিংকটি পেস্ট করে একটি লিংক তৈরি হয়ে যাবে তারপর ওই লিংকই আপনি শেয়ার করবেন সেই লিংক এ বিজিট করে কে অ্যামাজন থেকে কিছু কেনা কাটা করে তাহলে আপনি কমিশিন পাবেন।
এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা অ্যামাজন এফিলিয়েট ব্যবাসা আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ বুজতে পেরেছেন।
অব্যশই যদি কোথাও বুজতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের কে জানাবেন আমরা সহযোগিতা করবো।
আর হ্যা, আপনি কবে থেকে শুরু করছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং অবশ্যই আমাদেরকে জানবেন কিন্তু, আর আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে অব্যশই জানাবেন।